👋 যদি কখনো হারাই, খুঁজে নিও আমায় পাহাড়ে আর লোকগানে।

আরো জানবেন?

নক্সী- কাঁথার মাঠ-০৭

সাত “ঘটক চলিল চলিল সূর্য সিংহের বাড়িরে” | — আসমান সিংহের গান কান্-কানা-কান্ ছুটল কথা গুন্-গুনা-গুন তানে, শোন্-শোনা-শোন সবাই শোনে, কিন্তু কানে কানে | “কি করগো রূপার মাতা? খাইছ কানের মাথা? ও-দিক যে তোর রূপার নামে রটছে গাঁয়ে যা তা! আমরা বলি রূপাই এমন সোনার কলি ছেলে, তার নামে হয় এমন কথা দেখব কি কাল … Continue reading নক্সী- কাঁথার মাঠ-০৭ আরো পড়ুন

নকশী কাঁথার মাঠ – ০৬

ছয় ও তুই ঘরে রইতে দিলি না আমারে | . — রাখালী গান ঘরেতে রূপার মন টেকে না যে, তরলা বাঁশীর পারা, কোন বাতাসেতে ভেসে যেতে চায় হইয়া আপন হারা | কে যেন তার মনের তরীরে ভাটির করুণ তানে, ভাটিয়াল সোঁতে ভাসাইয়া নেয় কোন্ সে ভাটার পানে | সেই চিরকেলে গান আজও গাহে, সুরখানি তার … Continue reading নকশী কাঁথার মাঠ – ০৬ আরো পড়ুন

নকশী কাঁথার মাঠ – ০৫

পাঁচ লাজ-রক্ত হইল কন্যার পরথম যৌবন — ময়মনসিংহ গীতিকা আশ্বিনেতে ঝড় হাঁকিল, বাও ডাকিল জোরে, গ্রামভরা-ভর ছুটল ঝপট লট্ পটা সব করে | রূপার বাড়ির রুশাই-ঘরের ছুটল চালের ছানি, গোয়াল ঘরের খাম থুয়ে তার চাল যে নিল টানি | ওগাঁর বাঁশ দশটা টাকায়, সে-গাঁয় টাকায় তেরো, মধ্যে আছে জলীর বিল কিইবা তাহে গেরো | বাঁশ … Continue reading নকশী কাঁথার মাঠ – ০৫ আরো পড়ুন

নকশী কাঁথার মাঠ – ০৪

চার কানা দেয়ারে, তুই না আমার ভাই, আরও ফুটিক ডলক দে, চিনার ভাত খাই — মেঘরাজার গান চৈত্র গেল ভীষণ খরায়, বোশেখ রোদে ফাটে, এক ফোঁটা জল মেঘ চোঁয়ায়ে নামল না গাঁর বাটে | ডোলের বেছন ডোলে চাষীর, বয় না গরু হালে, লাঙল জোয়াল ধূলায় লুটায় মরচা ধরে ফালে | কাঠ-ফাটা রোদ মাঠ বাটা বাট … Continue reading নকশী কাঁথার মাঠ – ০৪ আরো পড়ুন

নকশী কাঁথার মাঠ – ০৩

তিন চন্দনের বিন্দু বিন্দু কাজলের ফোঁটা কালিয়া মেঘের আড়ে বিজলীর ছটা — মুর্শিদা গান ওই গাঁখানি কালো কালো, তারি হেলান দিয়ে, ঘরখানি যে দাঁড়িয়ে হাসে ছোনের ছানি নিয়ে ; সেইখানে এক চাষীর মেয়ে নামটি তাহার সোনা, সাজু বলেই ডাকে সবে, নাম নিতে যে গোনা | লাল মোরগের পাখার মত ওড়ে তাহার শাড়ী, ভোরের হাওয়া যায় … Continue reading নকশী কাঁথার মাঠ – ০৩ আরো পড়ুন

নকশী কাঁথার মাঠ – ০২

দুই এক কালা দতের কালি যা দ্যা কলম লেখি, আর এক কালা চক্ষের মণি, যা দ্যা দৈনা দেখি, —ও কালা, ঘরে রইতে দিলি না আমারে | — মুর্শিদা গান এই গাঁয়ের এক চাষার ছেলে লম্বা মাথার চুল, কালো মুখেই কালো ভ্রমর, কিসের রঙিন ফুল! কাঁচা ধানের পাতার মত কচি-মুখের মায়া, তার সাথে কে মাখিয়ে দেছে … Continue reading নকশী কাঁথার মাঠ – ০২ আরো পড়ুন

নকশী কাঁথার মাঠ – ০১

এক বন্ধুর বাড়ি আমার বাড়ি মধ্যে ক্ষীর নদী, উইড়া যাওয়ার সাধ ছিল, পাঙ্খা দেয় নাই বিধি | — রাখালী গান এই এক গাঁও, ওই এক গাঁও — মধ্যে ধু ধু মাঠ, ধান কাউনের লিখন লিখি করছে নিতুই পাঠ | এ-গাঁও যেন ফাঁকা ফাঁকা, হেথায় হোথায় গাছ ; গেঁয়ো চাষীর ঘরগুলি সব দাঁড়ায় তারি পাছ | … Continue reading নকশী কাঁথার মাঠ – ০১ আরো পড়ুন

আকাশে সাতটি তাঁরা-জীবনানন্দ থেকে গ্রন্থিত

ছেলে: আকাশে সাতটি তারা যখন উঠেছে ফুটে আমি এই ঘাসে ব’সে থাকি; বাংলার নীল সন্ধ্যা-কেশবতী কন্যা যেন এসেছে আকাশে; আমার চোখের পরে আমার মুখের পরে চুল তার ভাসে; পৃথিবীর কোনো পথে এ কন্যারে দেখিনিকো-দেখি নাই অত অজস্রচুলের চুমা হিজলে, কাঁঠালে , জামে ঝরে অবিরত, জানি নাই এত স্নিগ্ধ গন্ধ ঝরে রূপসীর চুলের বিন্যাসে। আরো পড়ুন

শুধু তোমার জন্য-নির্মলেন্দু গুণ

কতবার যে আমি তোমোকে স্পর্শ করতে গিয়ে গুটিয়ে নিয়েছি হাত-সে কথা ঈশ্বর জানেন। তোমাকে ভালোবাসার কথা বলতে গিয়েও কতবার যে আমি সে কথা বলিনি সে কথা আমার ঈশ্বর জানেন। আরো পড়ুন

হারানো আমি

আজ অনেক দিন পর ময়মনসিংহ পার্কে হাঁটতে বের হয়েছি । হাঁটতে ভালই লাগছে। সেই সাথে এক ধরনের শূন্যতাও গ্রাস করছে। কাউকে হারানোর শূন্যতা। ময়মনসিংহ পার্কের এই পরিচিত রাস্তাগুলোতে অনেকবার টুসির হাত ধরে হেঁটেছি । আজ আর টুসি নেই । তাই একাই হাঁটতে হচ্ছে । টুসিকে আমার জীবন থেকে হারিয়ে ফেলেছি, প্রায় ছয় মাস হয়ে গেল … Continue reading হারানো আমি আরো পড়ুন

← পুরাতন লেখা || নতুন লেখা →